বাজেটের ১১ শতাংশই যাবে সুদ পরিশোধে

বাজেটের ১১ শতাংশই যাবে সুদ পরিশোধে

প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১১ শতাংশ। অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, সুদ পরিশোধে এই পরিমাণ বরাদ্দ বাংলাদেশের জন্য আশঙ্কাজনক। এক্ষেত্রে কম সুদে ঋণ পাওয়া যায়, এমন উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

২০২১-২২ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন, এই দুই খাত মিলিয়ে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। আয়ের উৎস হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন খাতের কর আদায় ছাড়াও বৈদেশিক ও অভ্যন্তরিণ ঋণ প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা।

প্রায় ৩৫ শতাংশ ঋণের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের লক্ষ্য রয়েছে মোট বাজেটের ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ ও বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্য রয়েছে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ। আর ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট ১১ শতাংশ, যা প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকার মতো। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যাচ্ছে সুদ পরিশোধের এ পরিমাণ।

বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক অধ্যাপক ফয়জুল লতিফ চৌধুরি বলেন, আমাদের যে রাজস্ব আহরণ হচ্ছে তাতে আমরা কখনই যেন আমরা সুদের জন্য এই আয়ের ১৫ শতাংশের বেশি ব্যায় না করি।

করোনা পরিস্থিতিতে আয়ের উৎস সীমিত হয়ে পড়ায় বাজেটে ঘাটতি বাড়ছে। যদিও সরকারের মেগা প্রকল্পসহ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় অব্যাহত রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারকে স্বল্প সুদে ঋণ প্রাপ্তির দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ বলেন, অভ্যান্তরীণ ও বহিরাগত এই দুটো উৎসকেই ব্যাবহার করা হয়েছে। আমরা দেখছি যে অনেক উন্নয়ন সহযোগী কিন্তু এই বাজেটের সাপোর্ট দিচ্ছে সেখানে সুদের খুব কম থাকে এবং সরকারের ব্যায়ের হার কিন্তু কমে। আমি আশা করি সরকার এই বহিরাগত খাতকে বেশি প্রাধান্য দিবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে অনুদানসহ মোট ঘাটতি ২ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকার মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাত হিসেবে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকেই সরকারের ঋণের লক্ষ্য রয়েছে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন